সমগ্র বাংলাদেশকে কয়টি ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে?
২টি
৩টি
৪টি
৫টি
Description:
বাংলাদেশের ভূ-কম্পন অঞ্চল:- ২০১৬ সালে প্রকাশিত 'Bangladesh National Building Code' (BNBC) রিপোর্ট অনুযায়ী, সমগ্র বাংলাদেশকে চারটি ভূমিকম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।- সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রকাশিত রির্পোটেও সমগ্র বাংলাদেশকে চারটি ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চলে বা Seismic Zone এ বিভক্ত করা হয়েছে।- অঞ্চলগুলো হলো:১. খুবই গুরুতর ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চল:- উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট, ময়মনসিংহ সহ উত্তরাঞ্চল)।- এসব অঞ্চলের Seismic Zone Coefficient (Z) = 0.36২. গুরুতর ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চল:- উচ্চ মধ্য, উত্তর-পশ্চিম অংশ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রংপুর ইত্যাদি জেলা)।- এসব অঞ্চলের Seismic Zone Coefficient (Z) = 0.28৩. মাঝারী ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চল:- নিম্ন মধ্য এবং উত্তর পশ্চিম অংশ (ঢাকা, কুমিল্লা, নাটোর, নোয়াখালী, পাবনা, সুন্দরবন ইত্যাদি)।- এসব অঞ্চলের Seismic Zone Coefficient (Z) = 0.2৪. কম ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চল:- দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ইত্যাদি)।- এসব অঞ্চলের Seismic Zone Coefficient (Z) = 0.12উল্লেখ্য,- BANGLADESH NATIONAL BUILDING CODE (BNBC) সর্বপ্রথম ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভূমিকম্প সংঘটন অঞ্চলে (Seismic Zone) বিভক্ত করে।অঞ্চলগুলো হলো:১. মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ: উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (রিখটার স্কেলে তীব্রতা -৭),২. মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ: মধ্যাঞ্চল (রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৬),৩. কম ঝুঁকিপূর্ণ: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (রিখটার স্কেলে তীব্রতা-৫)।- পরে, ২০০৬ সালে প্রকাশিত রির্পোটেও তিনটি ভূমিকম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।এছাড়াও,- মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ বইয়ের সর্বশেষ সংস্করণে ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত রির্পোর্ট অনুসারে, ভূমিকম্পের প্রবণতার ভিত্তিতে সমগ্র বাংলাদেশকে ৩টি অঞ্চলে ভাগ করে দেখানো হয়েছে।উৎস: বাংলাদেশ-জাতীয়-বিল্ডিং-কোড-(BNBC Seismic Design সমীক্ষার রিপোর্ট) ওয়েবসাইট।