আবহাওয়া ও জলবায়ু

  • আবহাওয়া সম্পর্কীয় বিজ্ঞান- মেটিওরোলজি (Meteorology)।
  • প্রবহাওয়া-জলবায়ুবিদ্যায় পারদর্শী ব্যক্তিকে বলে- আবহাওয়াবিদ (Meteorologist)।
  • কোন অঞ্চলের ৩০ থেকে ৪০ বছরের আবহাওয়ার গড়কে বলে- জলবায়ু (Climate)।
  • কোন স্থানের জলবায়ু নির্ভর করে বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, প্রবাহ ও বারিপাতের উপর।
  • পরিবেশের একটি অবস্থা হলো- জলবায়ু।
  • জলবায়ু পরিবর্তন পরিমাপের জন্য ৩০ বছরের পরিবর্তনকে ধরা হয়।
  • জলবায়ুর উপাদান নয়- উষ্ণতা।
  • একটি অঞ্চলের বা দেশের জলবায়ু নির্ভর করে না- দ্রাঘিমারেখার উপর।
  • বায়ুর শক্তি বা তাপের প্রধান উৎস সূর্য।
  • বায়ুমণ্ডলের মোট শক্তির ৯৯.৯৭% শতাংশ আসে- সূর্য হতে।
  • সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে বিকিরণ প্রকৃয়ায় (Radiation)।
  • ভূ-পৃষ্ঠের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে স্বাভাবিক বায়ুমণ্ডলীয় চাপ- ১৪.৭২ পাউন্ড।
  • স্বাভাবিক অবস্থায় একজন মানুষের উপর প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে বায়ুর চাপ পড়ে প্রায়-১৫ পাউন্ড।
  • সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সে.মি. এ ১০ নিউটন।
  • সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ ৭৬ সে.মি.।
  • বায়ুমণ্ডলের চাপের ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানি লিফ্ট পাম্পের সাহায্যে সর্বোচ্চ যে গভীরতা থেকে উঠানো যায়- ১০ মিটার।
  • বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুচাপ কমে যায়।
  • বায়ুর চাপ সাধারণত সবচেয়ে বেশি হয় ঠাণ্ডা ও শুষ্ক থাকলে।
  • কোন স্থানের বায়ুচাপ হঠাৎ কমে গেলে বায়ু প্রবাহ বেড়ে যায়।
  • বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্রের নাম ব্যারোমিটার।
  • ব্যারোমিটার আবিষ্কার করেন গ্যালিলিও।
  • আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ বায়ুপ্রবাহ।
  • ক্রমশ ব্যারোমিটারে পারদের উচ্চতা বৃদ্ধি কিসের ইঙ্গিত দেয়- ভাল আবহাওয়ার।
  • ব্যারোমিটারের পারদ স্তম্ভের উচ্চতা হঠাৎ হ্রাস পেলে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
  • ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ মণ্ডলের সাথে কোনটি জড়িত বায়ুপ্রবাহ।
  • বায়ু প্রবাহিত হয়- উচ্চ চাপের স্থান থেকে নিম্নচাপের দিকে।
  • যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে বলা হয়- নিয়ত বায়ু।
  • কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে সদা প্রবাহিত বায়ুকে বলা হয়- অয়ন বায়ু।
  • জলভাগের পরিমাণ বেশি দক্ষিণ গোলার্ধে।
  • শুধু পরিবর্তনের সাথে যে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয়- মৌসুমী বায়ু (Monsoon Wind)।
  • মৌসুমি বায়ু সৃষ্টির মূল কারণ হলো- সূর্যের উত্তর আয়ন ও দক্ষিণ আয়ন।
  • সমুদ্রবায়ু প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়- অপরাহ্নে।
  • চট্টগ্রাম ব্রীষ্মকালে দিনাজপুর অপেক্ষা শীতল এবং শীতকালে উষ্ণ থাকে- সামুদ্রিক বায়ুর প্রভাবে।
  • কোনটি স্থানীয় বায়ু - সাইমুম।
  • আরব মরুভূমিতে প্রবাহিত বায়ুর নাম সাইমুম।
  • উত্তর গোলার্ধে সাইক্লোনের বায়ু প্রবাহিত হয় - ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে।
  • বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করাকে বলে - বায়ুর আর্দ্রতা (Humidity)।
  • আবহাওয়ার ৯০% আর্দ্রতা মানে - বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সম্পৃক্ত অবস্থায় ৯০%।
  • বাতাসের তাপমাত্রা হ্রাস পেলে আর্দ্রতা - বাড়ে। [পরি.ব্যুরো-৯৫]
  • দুটি ঘরের তাপমাত্রা সমান কিন্তু আপেক্ষিক আর্দ্রতা যথাক্রমে ৫০% ও ৭৫% হলে যে ঘরটি তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক হবে প্রথমটি। আর্দ্রতা কম হওয়ার কারণে।
  • শীতকালে বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে।
  • শীতকালে আমাদের দেশে ভিজা কাপড় দ্রুত শুকায় এবং গায়ের চামড়া বা ঠোঁট ফেটে যায় কারণ - আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম থাকে বলে।
  • শীতকালে ভিজা কাপড় দ্রুত শুকায় কেন - বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকে বলে।
  • বর্ষাকালে ভিজা কাপড় শুকাতে দেরী হয়, কারণ - বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।
  • বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হওয়ার ফলে দেখা দেয় - শিশির, কুয়াশা।
  • এশিয়ার কোন অঞ্চলে সারা বছর পরিচলন বৃষ্টি হয় - মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায়।
  • সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে বলা হয় আইসোহাইট।
  • পৃথিবীতে শীতলতম স্থান ভার্থোয়ানস্ক, সাইবেরিয়া।
  • দক্ষিণ গোলার্ধের মহাদেশ অস্ট্রেলিয়ার উষ্ণতম মাস জানুয়ারি। 

 

Reference: BCS CONCISE SERIES ভূগোল ও নৈতিকতা