শব্দের অর্থগত পরিবর্তন কেবল রূপমূলের অর্থের মধ্যে সীমিত থাকে না। বাক্যে প্রয়োগভেদে শব্দের নানারকম অর্থ-বৈচিত্র্য তৈরি হতে পারে। তাছাড়া এমনিতেও একটি শব্দের দ্বি-অর্থবাচকতা বা বহু-অর্থবাচকতা থাকতে পারে। এমনকি বাকভঙ্গির কারণে অর্থ-ভিন্নতা পাওয়া যায়। যেমন:
উদাহরণ - ১.
ক. সে মাথায় আঘাত পেয়েছে।
খ. তিনি আমাদের গ্রামের মাথা।
গ. সে রাস্তার মাথায় অপেক্ষা করছে।
ঘ. আদর দিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে মাথায় তুলেছ।
উদাহরণ - ২
ক. সে আমাদের রক্ষাকর্তা।
খ. হ্যাঁহ, সে আমাদের রক্ষাকর্তা বটে।
মোটা দাগ-অঙ্কিত শব্দগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, উদাহরণ ১-এ 'মাথা' শব্দটি বাক্যের প্রেক্ষাপটে নানা রকম অর্থ তৈরি করেছে। উদাহরণ ২-এ বাকভঙ্গির কারণে এক বাক্যই ভিন্ন অর্থ উৎপাদন করছে। আসলে শব্দের অর্থ-বৈচিত্র্যের ব্যাপারটিকে সূত্র বা নিয়ম দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।