ভাববাচ্য

যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে। যে বাক্যের ক্রিয়া-বিশেষ্য বাক্যের ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে ভাববাচ্য বলে। যেমন: সেঁজুতির ঘুমানো হলো না। আমার খাওয়া হল না। আমার যাওয়া হলো না। কোথা থেকে আসা হলো।

ভাববাচ্যের বৈশিষ্ট্য:

  • এ বাচ্যের ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়।
  • এ বাচ্য কেবল অকর্মক ক্রিয়া হইতে গঠিত হয়।
  • এ বাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া বিভক্তি প্রযুক্ত হয়। যেমন- আমাকে এখন যেতে হবে। তোমার দ্বারা এ কাজ হবে না।
  • কখনো কখনো ভাববাচ্যে কর্তা উহ্য থাকে, কর্ম দ্বারাই ভাববাচ্য গঠিত হয়। যেমন- এ পথে চলা যায় না। এ বার ট্রেনে ওঠা যাক। কোথা থেকে আসা হচ্ছে?
  • মূল ক্রিয়ার সাথে সহযোগী ক্রিয়ার সংযোগ ও বিভিন্ন অর্থে ভাব বাচ্যের ক্রিয়া গঠিত হয়। যেমন- এ ব্যাপারে আমাকে দায়ী করা চলে না। এ রাস্তা আমার চেনা নেই।

এছাড়াও কর্মকর্তৃবাচ্য নামে আরো এক প্রকার বাচ্য আছেঃ

কর্মকর্তৃবাচ্য: যে বাচ্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। যেমন- বাঁশি বাজে এ মধুর লগনে। তোমাকে রোগা দেখায়। কাজটা ভালো দেখায় না। সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে

Reference: অগ্রদূত বাংলা