যে বাক্যে কর্তার অর্থ-প্রাধান্য বিদ্যমান থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যে বাক্যের ক্রিয়া কর্তাকে অনুসরণ করে, তাকে কর্তাবাচ্য বলে। যেমন:
- আমি ভাত খেয়েছি।
- রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি লিখেছেন।
- ছাত্ররা অঙ্ক করছে।
- ঝরনা ছবি আঁকে।
- আমি আগামীকাল বাড়ি ফিরব।
কর্তৃবাচ্যের বৈশিষ্ট্য:
- এ বাচ্যে ক্রিয়াপদ সর্বদাই কর্তার অনুসারী হয়ে থাকে।
- এ বাচ্যে ক্রিয়া সকর্মক ও অকর্মক দুই-ই হতে পারে।
- এ বাচ্যে কর্তায় প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং কর্মে দ্বিতীয়া, ষষ্ঠী বা শূন্য বিভক্তি হয়। যেমন: শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান,রোগী পথ্য সেবন করে।
- অজীব বিশেষ্যও অনেক সময় কর্তার ভূমিকা গ্রহণ করে। যেমন: ফ্যানটা অনেক জোরে ঘুরছে, শরতে শিউলি ফোটে।