ক্রিয়া বিশেষণ

যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: ছেলেটি দ্রুত দৌড়ায়। লোকটি ধীরে হাঁটে। মেয়েটি গুনগুনিয়ে গান গায়। ধীরে ধীরে বায়ু বয়।

ক্রিয়া বিশেষণকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনো ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়া বিশেষণ তা নির্দেশ করে। যেমন-

টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।

ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।

২. কালবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়া বিশেষণ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে। যেমন-

আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি।

যথাসময়ে সে হাজির হয়। পরে একবার এসো।

৩. স্থানবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়া বিশেষণ। যেমন-

মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়।

তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

৪. নেতিবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: না, নি ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা বুঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়ার পরে বসে। যেমন: 

সে এখন যাবে না। 

তিনি বেড়াতে যাননি। 

এমন কথা আমার জানা নেই।

৫. পদাণু ক্রিয়া বিশেষণ: বাক্যের মধ্যে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন না করলেও 'কি', 'যে', 'বা', 'না', 'তো' প্রভৃতি পদাণু ক্রিয়া বিশেষণ হিসেবে কাজ করে। যেমন-

কি : আমি কি যাব? 

যে : খুব যে বলেছিলেন আসবেন। 

বা : কখনো বা দেখা হবে।। 

না : মা একটু ঘুরে আসুন না, ভালো লাগবে। 

তো: মরি তো মরব।

Reference: অগ্রদূত বাংলা