৯ম - ১০ম শ্রেণির আলোকে বিশেষণের প্রকারভেদ

বর্ণবাচক

যে বিশেষণ দিয়ে রং নির্দেশ করা হয়, তাকে বর্ণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: নীল আকাশ; লাল ফিতা।

গুণবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: চালাক ছেলে; ঠান্ডা পানি।

অবস্থাবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে অবস্থা বোঝায়, তাকে অবস্থাবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: চলন্ত ট্রেন; তরল পদার্থ।

ক্রমবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে ক্রমসংখ্যা বোঝায়, তাকে ক্রমবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: এক টাকা; আট দিন।

পূরণবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে পূরণসংখ্যা বোঝায়, তাকে পূরণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: তৃতীয় প্রজনন্ম; ৩৪তম অনুষ্ঠান।

পরিমাণবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে উপাদান নির্দেশ করে, তাকে পরিমাণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: আধা কেজি চাল; অনেক লোক।

উপাদানবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে উপাদান নির্দেশ করে, তাকে উপাদানবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: বেলে মাটি।

প্রশ্নবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে প্রশ্নবাচকতা নির্দেশিত হয়, তাকে প্রশ্নবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: কেমন গান? কতক্ষণ সময়?

নির্দিষ্টতাবাচক: 

যে বিশেষণ দিয়ে বিশেষিত শব্দকে নির্দিষ্ট করা হয়, তাকে নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ বলে। যেমন: এই দিনে; সেই সময়।

ভাববাচক বিশেষণ: 

যেসব বিশেষণ বাক্যের অন্তর্গত অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে, সেসব বিশেষণকে ভাববাচক বিশেষণ বলে। যেমন: খুব ভালো খবর। গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।

বিধেয় বিশেষণ: 

বাক্যের বিধেয় অংশে যেসব বিশেষণ বসে, সেসব বিশেষণকে বিধেয় বিশেষণ বলে। যেমন: লোকটা পাগল। এই পুকুরের পানি ঘোলা।

 

 

Reference: অগ্রদূত বাংলা