"প্রত্যয়" এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

প্রত্যয় জানতে হলে ৬টি বিষয়ের জ্ঞান থাকতে হয়। যথা:

ইৎ: সংস্কৃত প্রত্যয় যোগ করার সময় প্রত্যয়ের সবটুকু অংশ প্রকৃতির শেষে যোগ হয় না; কিছু অংশ যোগ হয় এবং কিছু অংশ বাদ যায়। প্রত্যয়ের এই অংশকে বাদ হওয়াকে ইৎ বলা হয়। যেমন: সংসার+ষ্ণিক = সাংসারিক। (এখানে ষ্ণিক প্রত্যয়ের 'ষ', 'ণ' ইৎ হয়েছে)

প্রকৃতি: [পূর্বে আলোচিত]

উপধা: যে কোনো শব্দ বা ধাতুর শেষ বর্ণের পূর্ববর্তী বর্ণকে উপধা বলা হয়। যেমন: কবিতা= ক+অ+ব+ই+ত+আ। এখানে 'ত' হচ্ছে উপধা।

পরিবর্তন: কিছু (সকল নয়) প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ করলে উক্ত প্রকৃতির শেষে বর্ণের স্থলে অন্য বর্ণের আগমনকে পরিবর্তন বলা হয়। যেমন: মন+ক্ত = মত। এখানে 'মন' প্রকৃতির শেষ বর্ণের পরিবর্তন হয়েছে।

গুণ: প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে গুণ বলে।

নিম্নরূপ পরিবর্তনকে গুণ বলা হয়:

  • ই/-িকার বা ঈ/ী-কার থাকলে এ/ -েকার হবে। যেমন: লিখ+আ = লেখা, নী+তা = নেতা।
  • উ-কার বা ঊ/ ূ-কার থাকলে ও/াে-কার হবে। যেমন: শুন+আ= শোনা, ধূ+আ= ধোয়া।
  • ঋ-কার থাকলে 'অর'/- (রেফ) হবে। যেমন: কৃ+তব্য = কর্তব্য।

বৃদ্ধি: প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে বৃদ্ধি বলা হয়।

নিম্নরূপ পরিবর্তনকে বৃদ্ধি বলা হয়:

  • ই/-িকার, ঈ/ী-কার বা এ/-েকার থাকলে ঐ/-ৈকার হবে। যেমন: বিমান+ক্কিক = বৈমানিক। নীতি+ফিক = নৈতিক, সেনা+ফিক = সৈনিক।
  • উ-কার, ঊ-কার বা ও-কার থাকলে ও/ ৌ-কার হবে। যেমন: পুরাণ+ফিক = পৌরাণিক। ভূত+ফিক = ভৌতিক, যোগ+ফিক = যৌগিক।
  • অ-কার থাকলে আ-কার  হবে। যেমন: সংসার+ফিক = সাংসারিক।
  • ঋ/, -কার থাকলে 'আর' হবে। যেমন: কৃ+ণক = কারক।

 

Reference: অগ্রদূত বাংলা