কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়। যথা:
- দুটি বিশেষণ পদ একটি বিশেষ্যকে বোঝালে। যেমন: যে চালাক সে চতুর = চালাক-চতুর, যে শান্ত সে শিষ্ট = শান্তশিষ্ট।
- দুটি বিশেষ্য পদ একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে। যেমন: যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজসাহেব।
- কার্যে পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃদন্ত বিশেষণ পদেও কর্মধারয় সমাস হয়। যেমন: আগে ধোয়া পরে মোছা = ধোয়ামোছা।
- পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়। যেমন: সুন্দরী যে লতা = সুন্দরলতা, মহতী যে কীর্তি = মহাকীর্তি।
- বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ পূর্বপদ হলে 'মহৎ' ও 'মহান' স্থানে 'মহ্য' হয়। যেমন: মহৎ যে জ্ঞান = মহাজ্ঞান, মহান যে নবি = মহানবি।
- পূর্বপদে 'কু' বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে 'কৎ' হয়। যেমন: কু যে অর্থ = কদর্থ, কু যে আচার = কদাচার।
- পরপদে 'রাজা' শব্দ থাকলে কর্মধারয় সমাসে 'রাজ' হয়। যেমন: মহান যে রাজা = মহারাজ।
- বিশেষণ ও বিশেষ্য পদে কর্মধারয় সমাস হলে, কখনো কখনো বিশেষণ পরে আসে, বিশেষ্য আগে যায়। যেমন: সিদ্ধ যে আলু = আলুসিদ্ধ, অধম যে নর = নরাধম।"
- কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদ ও পরপদ নিচের কোনো-না-কোনোটির মতো হয়ে থাকে:
গঠন | উদাহরণ |
বিশেষণ + বিশেষ্য | খাসমহল, কাঁচমহল |
বিশেষণ + বিশেষণ | কাঁচাপাকা, চালাক-চতুর |
বিশেষ্য + বিশেষণ | ঘনশ্যাম, গোলাপলাল |
বিশেষ্য + বিশেষ্য | খাঁসাহেব, ঠাকুরমশাই |