ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি গঠন:
- একই (ধ্বন্যাত্মক) শব্দের অবিকৃত প্রয়োগ: ধক ধক, ঝন ঝন, পট পট, ঠক ঠক।
- প্রথম শব্দটির শেষে স্বরধ্বনি (আ) যোগ করে: খপাখপ, গপাগপ, গড়াগড়, ঝটাঝট, টপাটপ, দমাদম, ফটাফট, পটাপট।
- দ্বিতীয় শব্দটির শেষে 'ই' যোগ করে: ধরাধরি, ঝমঝমি, ঝনঝনি।
- যুগ্মরীতিতে গঠিত ধ্বন্যাত্মক শব্দ: কিচির মিচির (পাখি বা বানরের শব্দ)।
- টাপুর টুপুর- বৃষ্টি পতনের শব্দ, হাপুস হুপুস- গোগ্রাসে কিছু খাওয়ার শব্দ।
- আনি-প্রত্যয় যোগেও বিশেষ্য দ্বিরুক্তি গঠিত হয়: পাখিটার ছটফটানি দেখলে কষ্ট হয়। তোমার বকবকানি আর ভাল লাগে না।
বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার:
- বিশেষ্য: বৃষ্টির ঝমঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে।
- বিশেষণ: 'নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়।।
- ক্রিয়া: কলকলিয়ে উঠল সেথায় নারীর প্রতিবাদ।
- ক্রিয়া বিশেষণ: 'চিকচিক করে বালি কোথা নাহি কাদা।'