সমীভবন (Assimilation): শব্দমধ্যস্থ দুটো ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করলে তাকে বলা হয় সমীভবন। যেমন- বিশ্ব > বিপ্প। এখানে পূর্ববর্তী 'ল' এর প্রভাবে পরবর্তী 'ব' হয়েছে 'ল'।
সমীভবন প্রধানত তিন রীতির হয়। যথা:
- প্রগত সমীভবন (Progressive): পূর্ব প্রধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ পরবর্তী ধ্বনি পূর্ববর্তী ধ্বনির মতো হয়, একে বলে প্রগত সমীভবন। যেমন- জন্ম > জম্ম
- পরাগত সমীভবন (Regressive): পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হয়, একে বলে পরাগত সমীভবন। যেমন- কাঁদনা > কান্না। এখানে পরবর্তী 'ন' এর প্রভাবে পূর্ববর্তী 'দ' 'ন'-তে রূপান্তরিত হয়ে সাম্য লাভ করেছে। যেমন- কর্ম > কম্ম, কর্তা > কত্তা
- অন্যোন্য সমীভবন (Reciprocal): যখন পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয় তখন তাকে বলে অন্যোন্য সমীভবন। যেমন- বৎসর > বচ্ছর। এখানে পাশাপাশি অবস্থিত 'ৎ' ও 'স' পরস্পরকে প্রভাবিত করে যথাক্রমে 'চ' ও 'ছ' হয়েছে। যেমন- কুৎসিত > কুচ্ছিত, মহোৎসব > মোচ্ছব