গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ

প্র. তাঁর প্রথম প্রকাশিত নাটক কোনটি?

উ. 'শপথ' (১৯৬৪)।

প্র. তাঁর রচিত নাটকসমূহ কী কী?

উ. 'সুবচন নির্বাসনে' (১৯৭৪): স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমাজে যে মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দেয়, তাকে কেন্দ্র করেই এ নাটকটি রচিত।

'এখনও ক্রীতদাস' (১৯৮৪): এ নাটকে ঢাকা শহরের 'গলাচিপা' বস্তির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বাক্কা মিয়ার পরিবারের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের নিম্নবর্গের মানুষের অসহায় জীবনযাপনের ইতিবৃত্ত। এতে পুরুষতান্ত্রিক, পুঁজিবতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীদের উপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

'কোকিলারা' (১৯৯০): ঢাকা গাইড হাউস মিলনায়তনে ১৯ জানুয়ারি, ১৯৮৯ সালে নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় এবং গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯৯০ সালে। এ নাটকটি তিন কোকিলার কাহিনী। প্রথম কোকিলা সরল বালিকা, চোর সাব্যস্ত হয়ে শেষে আত্মহত্যা করে। দ্বিতীয় কোকিলা নিরীহ প্রাণী, স্বামীর ভোগপণ্যরূপে মধ্যবিত্ত সংসারে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যায়। তৃতীয় কোকিলা প্রতিবাদী, সমাজের অন্যায় ও অমানবিকতার বিপক্ষে সে সর্বদা সোচ্চার। বাংলাদেশের নারীদের তিনটি রূপ তিন কোকিলা। এটি এক চরিত্রনির্ভর নাটক। ফেরদৌসী মজুমদার কোকিলা নামে এই একক অভিনয় করেন।

'এখন দুঃসময়' (১৯৭৫): বন্যা দুর্গত একটি গ্রামের পটভূমিতে নাটকটি রচিত।

'এবার ধরা দাও' (১৯৭৭), 'শাহজাদীর কাল নেকাব' (১৯৭৮), 'চারিদিকে যুদ্ধ' (১৯৮৩), 'মেরাজ ফকিরের মা' (১৯৯৭)।

প্র. তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহ কী কী?

উ. 'মানব তোমার সারা জীবন' (১৯৮৮), 'আহ দেবদাস' (১৯৮৯), 'তাহাদের যৌবনকাল' (১৯৯১), 'হায় পার্বতী' (১৯৯১), 'এই চুনীলাল' (১৯৯৩), 'গুন্ডাপাণ্ডার বাবা' (১৯৯৩), 'খলনায়ক' (১৯৯৭)।

Reference: অগ্রদূত বাংলা