বুকের রক্ত দিয়া আমাকে যে একদিন দ্বিতীয় সীতাবিসর্জনের কাহিনী লিখিতে হইবে সে কথা কে জানিত। (হৈমন্তী)
যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম, এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হইবে। অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই। (হৈমন্তী)
এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে। (হৈমন্তী)
সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ। (হৈমন্তী)
হায়রে, তাহার বউমার প্রতি বাবার সেই মধুমাখা পঞ্চস্বর একেবারে এমন বাজখাই নাদে নামিল কেমন করিয়া? (হৈমন্তী)
কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই। (জীবিত ও মৃত)
একবার নিতান্ত হইল, 'ফিরিয়া যাই, জগতের ক্রোড়বিচ্যুত সেই অনাথিনীকে সঙ্গে করিয়া লইয়া আসি'... জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কি? পৃথিবীতে কে কাহার? (পোস্টমাস্টার)
শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়। (সমাপ্তি)
কিন্তু মঙ্গল আলোকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। (কাবুলিওয়ালা)
মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। (সভ্যতার সংকট)
সমগ্র শরীরকে বঞ্চিত করে কেবল মুখে রক্ত জমলে তাকে স্বাস্থ্য বলা যায় না। (রাশিয়ার চিঠি)
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। (রাজা)
আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না; আড়ম্বর করি, কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি, তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি, তাহা পালন করি না; ভূরি পরিমাণ বাক্য রচনা করিতে পারি, তিল পরিমাণ আত্মত্যাগ 1 করিতে পারি না; আমরা অহংকার দেখাইয়া পরিতৃপ্ত থাকি, যোগ্যতা লাভের চেষ্টা করি না। (বিদ্যাসাগরচরিত)