প্রখ্যাত কবি, প্রাবন্ধিক ও চিত্রসমালোচক বিষ্ণু দে ছিলেন কল্লোল সাহিত্য গোষ্ঠীর অন্যতম লেখক। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য মিথের সাথে মার্কসীয় তত্ত্বকে সাহিত্যে উপস্থাপন করেছেন বলে তাকে 'মার্কসিস্ট' কবি বলা হয়। তিরিশের কাব্যধারায় বিষ্ণুদের মধ্যেই প্রথম রাবিন্দ্রিক কাব্যবলয় অতিক্রমের সার্থক প্রয়াস লক্ষ করা যায়। তিনি মার্কসীয় তত্ত্বকে জীবনাবেগ ও শিল্পসম্মত করে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেন।
প্র. বিষ্ণু দে'র কাব্যগ্রন্থগুলো কী কী?
উ. 'উর্বশী ও আর্টেমিস' (১৯৩৩): সনাতন রোমান্টিকতার বিরোধী বিষ্ণু দে'র প্রথম কাব্যগ্রন্থ এটি। তিনি ঐতিহ্য সচেতন ছিলেন বলে দেশি ও বিদেশি মিথের প্রয়োগের মাধ্যমে আর্টেমিসের চিত্রকল্পের সাথে উর্বশীর চিত্রকল্পের পাশাপাশি স্থান দিয়েছেন।
'চোরাবালি' (১৯৩৭), 'সাতভাই চম্পা' (১৯৪৪), 'সন্দ্বীপের চর' (১৯৪৭), 'নাম রেখেছি কোমল গান্ধার' (১৯৫০), 'তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ' (১৯৫৮), 'স্মৃতিসত্তা ভবিষ্যৎ' (১৯৬৩), 'সেই অন্ধকার চাই' (১৯৬৭), 'রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশে' (১৯৭৩), 'দিবানিশি' (১৯৭৬), 'চিত্ররূপমত্ত পৃথিবীর' (১৯৭৬), 'উত্তরে থাকো মৌন' (১৯৭৭), 'আমার হৃদয়ে বাঁচো' (১৯৮২)।
প্র. বিষ্ণু দে'র অন্যান্য সাহিত্যকর্ম কী কী?
উ. প্রবন্ধ: 'রুচি ও প্রগতি' (১৯৪৬), 'সাহিত্যের ভবিষ্যৎ (১৯৫২), 'এলোমেলো জীবন ও শিল্প সাহিত্য' (১৯৬৮), 'সাধারণের রুচি' (১৯৭৫)।
অনুবাদ: 'এলিয়টের কবিতা' (১৯৫০)।
স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ: 'এই জীবন'।