মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২)

প্রখ্যাত গবেষক, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ এনামুল হক বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণায় অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তি। তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য সত্যানুসন্ধান ও বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা। তিনি প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের লুপ্তপ্রায় পাণ্ডুলিপির সন্ধান দেন। ১৯৪৭ সালে নভেম্বর মাসে 'পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার পরিপ্রেক্ষিতে উর্দু ও বাংলা' নামক প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, 'বাংলাকে ছাড়িয়া উর্দুকে রাষ্ট্রভাষারূপে পূর্ব পাকিস্তানবাসী গ্রহণ করিলে, তাহাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মৃত্যু অনিবার্য।'

 

  • মুহম্মদ এনামুল হক ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯০২ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বখতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনিই সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে 'সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি' অভিধা প্রদান করেছিলেন।
  • তিনি ১৯৫৬ সালের ডিসেম্বরে নবগঠিত 'বাংলা একাডেমি'র প্রথম পরিচালক ছিলেন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন (১৯৭৫-৭৬)।
  • তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৪), একুশে পদক (১৯৭৯) পান। বাংলা একাডেমি তাঁর নামে 'মুহম্মদ এনামুল হক সাহিত্য পদক' চালু করে।
  • তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ সালে ঢাকার পিজি হাসপাতালে মারা যান।

 

প্র. তাঁর সাহিত্যকর্মসমূহ কী কী?

প্রবন্ধ: 'আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (১৯৩৫)- এটি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সহযোগে রচনা করেন। 'বঙ্গে সুফী প্রভাব' (১৯৩৫), 'বাঙলা ভাষার সংস্কার' (১৯৪৪), 'ব্যাকরণ মঞ্জরী' (১৯৫২), 'মুসলিম বাঙালা সাহিত্য' (১৯৫৭), 'বাংলাদেশের ব্যবহারিক অভিধান' (১৯৭৪), 'মনীষা মঞ্জুষা' (১ম খণ্ড- ১৯৭৫, ২য় খণ্ড- ১৯৭৬)।

ভ্রমণকাহিনী : 'বুলগেরিয়া ভ্রমণ' (১৯৭৮)।

গীতি সংকলন: 'আবাহন' (১৯২০-২১)।

কবিতা সংকলন: 'ঝর্ণাধারা' (১৯২৮)।

 

Reference: অগ্রদূত বাংলা