পাকিস্তান আদর্শে বিশ্বাসী গোলাম মোস্তফা গদ্য ও পদ্য রচনায় সমান দক্ষ হলেও কবি হিসেবে তিনি অধিক সমাদৃত। তাঁর কাব্যের মূল বিষয় ইসলাম ও প্রেম। পাকিস্তান আন্দোলনের পটভূমিকায় তিনি প্রচুর পরিমাণ ইসলামি ও পাকিস্তান প্রীতিমূলক সংগীত রচনা করেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তিনি উর্দুকে সমর্থন করেন
প্র. গোলাম মোস্তফার সাহিত্যকর্মসমূহ কী কী? ১৮তম বিসিএস লিখিত।
উ. কাব্যগ্রন্থ: 'রক্তরাগ' (১৯২৪): এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এ কাব্যটি প্রকাশিত হলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "তব নব প্রভাতের রক্তরাগখানি মধ্যাহ্নে জাগায় যেন জ্যোতিময় বাণী।" এ কবিতার মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।
'বুলবুলিস্তান' (১৯৪৯): এ কাব্যের বিখ্যাত কবিতা 'জীবন বিনিময়'।
'খোশরোজ' (১৯২৯), 'কাব্যকাহিনী' (১৯৩২), 'সাহারা' (১৯৩৬), 'হাস্নাহেনা' (১৯৩৮), 'তারানা-ই-পাকিস্তান' (১৯৫৬), 'বনি আদম' (১৯৫৮), 'গীতিসঞ্চয়ণ' (১৯৬৮)।
উপন্যাস: 'রূপের নেশা' (১৯২০): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।
জীবনীগ্রন্থ: 'বিশ্বনবী' (১৯৪২): এটি মহানবী (স) এর সার্থক জীবনী গ্রন্থ। 'মরুদুলাল' (১৯৪৮)।
গদ্যগ্রন্থ: 'ইসলাম ও কমিউনিজম' (১৯৪৬), 'ইসলাম ও জিহাদ' (১৯৪৭), 'আমার চিন্তাধারা' (১৯৫২)।