সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) এস. ওয়াজেদ আলি ছিলেন একজন উদার ও প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব। তিনি 'সবুজপত্র' পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যে তিনি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গঠনের জন্য হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান সম্বলিত সাহিত্য রচনায় প্রবৃত্ত হন। তিনি পরপর দুবার 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি'র সভাপতি ছিলেন।
প্র. তাঁর প্রকাশিত সাহিত্যকর্মসমূহ কী কী?
গল্প: 'মাশুকের দরবার' (১৯৩০), 'দরবেশের দোয়া' (১৯৩১), 'বাদশাহী গল্প' (১৯৪৪), 'গল্পের মজলিস' (১৯৪৪), 'ভাঙ্গাবাঁশী'।
ঐতিহাসিক উপন্যাস: 'গ্রানাডার শেষ বীর' (১৯৪০)।
প্রবন্ধ:
'অতীতের বোঝা' (১৯১৯): এটি তাঁর প্রথম প্রবন্ধ, যা প্রমথ চৌধুরীর 'সবুজপত্র' পত্রিকায় ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়।
'ভবিষ্যতের বাঙালি' (১৯৪৩): এটি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গঠনের জন্য হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান সম্পর্কিত। এ গ্রন্থে তিনি বাংলাভাষীদের রাষ্ট্রগঠন সম্পর্কে ইঙ্গিত প্রদান করেন।
জীবনের শিল্প' (১৯৪১), 'প্রাচ্য ও প্রতীচ্য' (১৯৪৩), 'আকবরের রাষ্ট্রসাধনা' (১৯৪৯), 'মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ', 'ইকবালের পয়গাম'।
ভ্রমণকাহিনী: 'পশ্চিম ভারত' (১৯৪৮), 'মোটরযোগে রাঁচি সফর' (১৯৪৯)।