হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, বহুভাষাবিদ, দার্শনিক, পণ্ডিত, প্রত্নতত্ত্ববিদ, ঐতিহাসিক, সংস্কৃত বিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা। ভারততত্ত্ব নিয়ে শাস্ত্রীকে আগ্রহী করেন রাজেন্দ্রলাল মিত্র। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের (১৯২১) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং 'এশিয়াটিক সোসাইটি'র সভাপতি ছিলেন (১৯১৯-১৯২১)।
প্র. চর্যাপদ কবে ও কোথা থেকে প্রকাশিত হয়? ২৭তম বিসিএস লিখিত]
উ. মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) কলকাতার 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে 'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়', 'ডাকার্ণব', 'সরহপাদের দোহা' ও 'কাহ্নপাদের দোহা' গ্রন্থের সম্মিলন 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা' নামে প্রকাশিত হয়।
প্র. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ কী কী?
উপন্যাস: 'কাঞ্চনমালা' (১৯১৬), 'বেণের মেয়ে' (১৯২০)।
'তৈল': এটি প্রথম 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
'বাল্মীকির জয়' (১৮৮১), 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' (১৮৮২), 'মেঘদূত' (১৯০২), 'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা' (১৯১৬), 'প্রাচীন বাংলার গৌরব' (১৯৪৬), 'বৌদ্ধধর্ম' (১৯৪৮), 'সচিত্র রামায়ণ'।
প্র. 'বেণের মেয়ে' উপন্যাসের পরিচয় দাও?
উ. মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বিখ্যাত উপন্যাস 'বেণের মেয়ে' (১৯২০)। এটি ঐতিহাসিক উপন্যাস হলেও এর চরিত্রগুলো কাল্পনিক। দশম-একাদশ শতাব্দীর বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মের অবসান, হিন্দু ধর্মের নবরূপে আবির্ভাবকালে সপ্তগ্রামের এক বৌদ্ধ পরিবারকে নিয়ে এ উপন্যাসের কাহিনীর গতিপথ প্রসারিত হয়েছে। এ উপন্যাসের মাধ্যমে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অতীতকে নতুনরূপে উপস্থাপন করেছেন।
প্র. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কি আবিষ্কার করেন? /৩৩/২৭তম বিসিএস লিখিত।
উ. বাংলার প্রাচীন পুঁথির খোঁজে তিনি নেপাল যান এবং তৃতীয়বারের (প্রথমবার: ১৮৯৭, দ্বিতীয়বার: ১৮৯৮, তৃতীয়বার: ১৯০৭) প্রচেষ্টায় ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে 'চর্যাপদ' আবিষ্কার করেন।