বাঙালি নবজাগরণের অগ্রদূত, বাংলা সাহিত্যের সার্থক ঔপন্যাসিক, বাংলা সাহিত্যধারার প্রতিষ্ঠাতা পুরুষদের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অগ্রজ। তিনি ধর্ম, দর্শন, সাহিত্য, ভাষা, সমাজ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ রচনা করে বাঙালি জাতিকে চিন্তা-চেতনায় ও মননশীলতায় দীক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার তুলনামূলক সমালোচনা ধারার পথ প্রদর্শক এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের সমন্বয় সাধনকারী হিসেবে খ্যাত।
প্রশ্ন. বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: 'ললিতা। পুরাকালিক গল্প। তথা মানস' (১৮৫৬)। (সূত্র: বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান)
প্রশ্ন. বঙ্কিমচন্দ্র রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাসের নাম কী?
উত্তর: 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫): এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। বঙ্কিমচন্দ্র ১৮৬২ সালে উপন্যাসটি রচনা শুরু করেন এবং ১৮৬৩ সালে খুলনার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকালে রচনা শেষ করেন। উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৮৬৫ সালে। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ পর্যায়ে উড়িষ্যার অধিকার নিয়ে মোঘল ও পাঠানদের মধ্যে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, তারই পটভূমিকা এ উপন্যাসের উপজীব্য। দিল্লীশ্বরের সেনাপতি মানসিংহের পুত্র কুমার জগৎসিংহ বিষ্ণুপুর থেকে মান্দারণ যাত্রাকালে ঝড়ের কবলে পড়ে শৈলেশ্বর মহাদেবের মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেখানে ঘটনাচক্রে মান্দারণ দুর্গাধিপতি মহারাজ বীরেন্দ্র সিংহের কন্যা তিলোত্তমার সাথে সাক্ষাৎ হয়। জগৎসিংহ ও তিলোত্তমা নিজেদের প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখলেও দুজন দুজনেই পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। পরে পাঠান সেনাপতি ওসমান খাঁ সুকৌশলে মান্দারণ দূর্গ দখল করে বীরেন্দ্র সিংহ, স্ত্রী বিমলা ও কন্যা তিলোত্তমাকে বন্দী করে। পাঠান নবাব প্রহসনের বিচারের নামে কতলু খাঁর মাধ্যমে বীরেন্দ্র সিংহকে হত্যা করে। অপরদিকে বিমলা কতলু খাঁকে হত্যা করে স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নেয়। পাঠানেরা কুমার জগৎসিংহের মাধ্যমে অম্বররাজ মানসিংহ তথা দিল্লীশ্বরের সাথে সন্ধি করে। পরিশেষে মান্দারণ পুনরায় স্বাধীন হয় ও দিল্লীশ্বরের প্রধান সেনাপতি অম্বররাজ মানসিংহের মাধ্যমে মহারানি বিমলার হস্তে রাজ্যপাঠ হস্তান্তর করে এবং মহাধুমধামের সাথে কুমারজগৎ সিংহ এবং দুর্গেশনন্দিনীর তিলোত্তমার মিলন ঘটে। দুর্গেশনন্দিনী অর্থ দুর্গ প্রধানের কন্যা। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: কুমার জগৎসিংহ, ওসমান, আয়েশা, তিলোত্তমা। এ উপন্যাসের প্রতিক্রিয়ায় ইসমাইল হোসেন সিরাজী 'রায়নন্দিনী' উপন্যাস লিখেন।
প্রশ্ন. বঙ্কিমচন্দ্রকে যে সকল উপাধি দেয়া হয়?
উত্তর: তিনি সাহিত্য রসবোদ্ধাদের কাছ থেকে সাহিত্যসম্রাট, হিন্দু ধর্মানুরাগীদের কাছ থেকে ঋষি আখ্যা লাভ করেন। তিনি বাংলার স্কট এবং বাংলা উপন্যাসের জনক। ছদ্মনাম- কমলাকান্ত। নিষ্ঠার সাথে ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিটিশ সরকার 'রায়বাহাদুর' (১৮৯১) এবং ১৮৯৪ সালে সি.আই.ই উপাধি প্রদান করে।
প্রশ্ন. বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসগুলো কী কী?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্রের মোট উপন্যাস ১৫টি।
'যুগলাঙ্গুরীয়' (১৮৭৪), 'রাধারাণী' (১৮৮৬), 'সীতারাম' (১৮৮৭)।
প্র. বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয় কেন? (৩০তম বিসিএস লিখিত)
উ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫)। 'উপন্যাস' একটি পাশ্চাত্য শিল্প ধারণা, সেই পাশ্চাত্যরীতিকে অবলম্বন করে একটি পরিপূর্ণ আখ্যানের মাধ্যমে তিনি এ উপন্যাসটি রচনা করেন। 'ফুলমণি ও করুণার বিবরণ', 'আলালের ঘরের দুলাল' প্রভৃতি ছিল উপন্যাস তৈরির প্রাথমিক প্রচেষ্টা, যা সর্বাঙ্গ সার্থক নয়। 'দুর্গেশনন্দিনী' রচনার মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র একদিকে যেমন তাঁর মৌলিক প্রতিভা বিকাশের পথের সন্ধান লাভ করেন, অন্যদিকে তেমনি বাঙালির মন ও মনন এক অভিনব সাহিত্যশিল্পের রসাস্বাদন করতে সক্ষম হয়। এরপর তিনি মোট ১৪টি সার্থক উপন্যাস রচনা করে এ ধারাকে বেগবান করেন বলে তাকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
সাম্য (প্রবন্ধ) - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সাম্যবাদী (কাব্যগ্রন্থ) - কাজী নজরুল ইসলাম
সাম্যবাদী (পত্রিকা) - খান মুহম্মদ মইনুদ্দিন
বৈকুণ্ঠের উইল (উপন্যাস) - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কৃষ্ণকান্তের উইল (উপন্যাস) - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্র. বঙ্কিমচন্দ্রের ত্রয়ী উপন্যাসগুলো কী কী? (৩৪/৩২তম বিসিএস লিখিত)
উ. 'আনন্দমঠ' (১৮৮২), 'দেবী চৌধুরানী' (১৮৮৪), 'সীতারাম' (১৮৮৭)।
প্র. 'কপালকুণ্ডলা' উপন্যাস সম্পর্কে আলোচনা করুন। (৩২তম বিসিএস লিখিত)
উ. 'কপালকুণ্ডলা' (১৮৬৬) বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্সধর্মী উপন্যাস। অরণ্যে কাপালিক পালিতা নারী 'কপালকুণ্ডলা'কে ঘিরে এই উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। এতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়কার আগ্রার নগর ও স্থাপত্য এবং অন্যদিকে আছে অরণ্য ও সমুদ্র। সামাজিক সংস্কারের সাথে অপরিচিতা এ নারীর নবকুমারের সাথে বিয়ে এবং কপালকুণ্ডলা'র সমাজবন্ধনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এ উপন্যাসের মূল নির্যাস। প্রকৃতির সৌন্দর্য ও রহস্যময়তা, কপালকুণ্ডলার চরিত্র, কাহিনীর ট্র্যাজিক পরিণতি- এ তিনটি কারণে উপন্যাসটি বঙ্কিমের অন্যতম স্মরণীয় রচনা। তীর্থ যাত্রীদের নৌকা পথ হারিয়ে এক মোহনায় উপস্থিত হলে নবকুমার বনের মধ্যে কাঠ আনতে যায়। সেখানে তার দেখা হয় কাপালিকের সাথে। কাপালিক তাকে ভৈরবীর কাছে বলি দিতে চায়। কিন্তু কাপালিকের আশ্রিতা কন্যা কপালকুণ্ডলার সহায়তায় নবকুমার পালিয়ে বাঁচে। পরে নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তার বাড়ীর পথে যাত্রা শুরু করে। পথিমধ্যে নবকুমারের ধর্মান্তরিত পূর্ব স্ত্রী মতি তাদের দেখে চিনতে পারে। এরপর থেকে সে চেষ্টা করে কপালকুণ্ডলা ও নবকুমারের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে। অপরদিকে কাপালিকও আসে কপালকুণ্ডলাকে বলি দেয়ার জন্য নিয়ে যেতে। মতি কাপালিকের সাথে হাত মিলিয়ে নানা কৌশলে কপালকুণ্ডলাকে তার হাতে তুলে দিতে চায়। কিন্তু নবকুমার শেষে সবকিছু বুঝতে পারে। উপন্যাসের শেষে দেখানো হয়েছে স্রোতময় নদীর তীর থেকে কপালকুণ্ডলা হারিয়ে যায়, আর তাকে খুঁজতে নবকুমার নদীতে নামে।তাদের কেউ আর ফিরে আসে না, এখানেই উপন্যাসের সমাপ্তি। 'তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইবো না কেনা', 'পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ'- এ উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি। ১৮৭৩ সালে গিরিশচন্দ্র ঘোষ এ উপন্যাসের নাট্যরূপ দেন। ১৮৭৪ সালে দামোদর মুখোপাধ্যায় এ উপন্যাসের সমাপ্তির আলোকে 'মৃন্ময়ী' নামে একটি উপন্যাস রচনা করেন।
প্র. 'আনন্দমঠ' উপন্যাসের পরিচায় দাও।
উ. ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের পটভূমিকায় সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ছায়া অবলম্বনে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস 'আনন্দমঠ' (১৮৮২)। স্বদেশভক্তি, স্বজাতি ও স্বধর্মপ্রীতি এ উপন্যাসের মূল সুর। এ উপন্যাসে বঙ্কিম স্বদেশ বলতে বঙ্গভূমিকে, ধর্ম বলতে হিন্দু ধর্মকে বুঝিয়েছেন। এর ঘটনা কল্পিত কিন্তু বাস্তবধর্মী। মন্বন্তরের বর্ণনা নিখুঁত, সাধারণ গ্রামীণ জীবনের আখ্যান বাস্তব। প্রেম ও আদর্শের দ্বন্দ্ব এ উপন্যাসের কাহিনীকে নিবিড়তা দান করেছে। এ উপন্যাসের 'বন্দে মাতরম' গানটির ভূমিকা যেমন ঐতিহাসিক, তেমনি এর প্রভাবও সুদূরপ্রসারী। পরবর্তীতে এ গানটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকারীদের উদ্দীপক স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উপন্যাসটি ১৯০৭ সালে নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত The abbey of Bliss নামে এবং ১৯১০ সালে শ্রী অরবিন্দ Ananda Math নামে ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন।
প্র. 'বিষবৃক্ষ' উপন্যাসের পরিচায় দাও।
উ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত সামাজিক উপন্যাস 'বিষবৃক্ষ' (১৮৭৩)। উপন্যাসটি ১৮৭২ সালে 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় ১২টি কিস্তিতে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১ জুন, ১৮৭৩ সালে। চরিত্রায়ণে, ঘটনা সংস্থানে এবং জীবনের কঠিন সমস্যার রূপায়ণে 'বিষবৃক্ষ' বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। কুন্দনন্দিনী নামে বাল্যবিধবার প্রতি ধনাঢ্য ভূস্বামী নগেন্দ্রনাথের দুর্নিবার আকর্ষণ ও আত্মসমর্পণ, নগেন্দ্রপত্নী সূর্যমুখীর গৃহত্যাগ, পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীর পুনর্মিলন এবং শেষে কুন্দনন্দিনীর আত্মহত্যা, এটিই এ উপন্যাসের মূল কাহিনী। গোবিন্দপুরের জমিদার নগেন্দ্রনাথ দত্ত কলকাতা যাত্রার পথে অনাথা বালিকা কুন্দনন্দিনীকে অসহায় অবস্থা থেকে উদ্ধার করে কলকাতায় বোন কমলমনির কাছে রেখে আসে। পরে স্ত্রী সূর্যমুখীর অনুরোধে তাকে গোবিন্দপুরে নিয়ে আসে। সূর্যমুখীর দূরসম্পর্কীয় ভাই তারাচরণের সাথে বিয়ে হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কুন্দ বিধবা হয়। এরপর ঘটনাক্রমে কুন্দ-নগেন্দ্র দুজন দুজনার প্রতি আকৃষ্ট হয়। অন্যদিকে, দেবীপুরের দুশ্চরিত্র জমিদার দেবেন্দ্র হরিদাসী বৈষ্ণবীর বেশে নগেন্দ্রর বাড়িতে এসে কুন্দকে কুপ্রস্তাব দেয়। হরিদাসী বৈষ্ণবীর ঘটনায় সূর্যমুখী কর্তৃক অপমানিত হয়ে কুন্দ আত্মহত্যা করতে চায়, পরে গৃহত্যাগ করে। কুন্দের অদর্শনে নগেন্দ্র সূর্যমুখীর প্রতি রুষ্ট হন এবং গৃহত্যাগের সংকল্প করেন। পরে কুন্দ ফিরে এলে সূর্যমুখী স্বামীর সাথে কুন্দের বিয়ে দিয়ে গৃহত্যাগ করে ঘুরতে ঘুরতে রোগাক্রান্ত হলে এক ব্রহ্মচারী তাকে সুস্থ করে নগেন্দ্রনাথকে সংবাদ পাঠায়। সংবাদ পেয়ে নগেন্দ্র ফিরে আসে এবং উভয়ের পুনর্মিলন হয়। অপরদিকে, নগেন্দ্রনাথ গৃহে ফিরে কুন্দর সাথে দেখা না করায় কুন্দ বিষপান করে। শেষে নগেন্দ্রনাথের পায়ে মাথা রেখে কুন্দ ইহলোক ত্যাগ করে। বাল্যবিধবা কুন্দনন্দিনীর প্রেম ও কামনার বিকাশকে তৎকালীন সমাজ যে প্রশ্রয় দেয়নি, এ উপন্যাস তার প্রমাণ। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় সমস্যার সাথে বিধবা বিবাহ, বহুবিবাহ, রূপতৃষ্ণা ও নৈতিকতার দ্বন্দ্ব, নারীর আত্মসম্মান ও অধিকারবোধ প্রভৃতি অনন্য দক্ষতায় সার্থকভাবে বঙ্কিম এ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।
প্র. বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধগুলো কি কি?
উ. বঙ্কিমচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগুলো হলো:
প্র. 'কমলাকান্তের দপ্তর' প্রবন্ধের পরিচায় দাও।
উ. ডিকুইনসির Confession of an English Opium Eater অবলম্বনে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিভিন্ন মেজাজের লঘু ঢঙে রচিত প্রবন্ধ 'কমলাকান্তের দপ্তর' (১৮৭৫)। গ্রন্থটি কমলাকান্তের দপ্তর, কমলাকান্তের পত্র, কমলাকান্তের জবানবন্দি- এ তিনটি প্রবন্ধের সংকলন। কমলাকান্ত নামক আফিমখোর, খ্যাপাটে কিন্তু চিন্তাশীল ও কবিপ্রতিভাসম্পন্ন এক চরিত্রের জবানিতে প্রবন্ধগুলি রচিত। কমলাকান্ত আফিম খেলেই দিব্যদৃষ্টি ফিরে পায় এবং সমাজ সম্পর্কিত ভাবনা, দেশপ্রেম, দার্শনিকতায় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে উঠে। প্রসন্ন গোয়ালিনী কমলাকান্তের অনুসঙ্গী চরিত্র। এ গ্রন্থটিতে হাসির সাথে করুণের, অদ্ভুতের সাথে সত্যের, সরলতার সাথে মর্মদাহিনী জ্বালার, নেশার সাথে তত্ত্ববোধের, শ্লেষের সাথে উদারতার সমন্বয় ঘটেছে। অনেকেই ধরে নেন যে, কমলাকান্তের আড়ালেই বঙ্কিম নিজে এর প্রতিনিধিত্ব করেন।