ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
- বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে।
- ২০২২ সালের আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা ১৬,৫০,১৫৯ জন। যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১%।
- সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বাস করে চট্টগ্রাম বিভাগে।
- বাংলাদেশে বর্তমানে ৮টি উপজাতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি নেত্রকোণার বিরিশিরিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম নৃ-গোষ্ঠী হলো চাকমা। মারমা বা মগ হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম। এদের পরে রয়েছে যথাক্রমে সাঁওতাল, ত্রিপুরা, গারো।
- উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে শুধু গারো ও খাসিয়াদের পারিবারিক কাঠামো মাতৃতান্ত্রিক। বাকি উপজাতিদের পারিবারিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক।
- উপজাতিদের মধ্যে একমাত্র পাংগনরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী।
- বাংলাদেশে বসবাস করে না এমন কিছু উপজাতি হলো: মাউরি (নিউজিল্যান্ড), জুলু (দক্ষিণ আফ্রিকা), আফ্রিদি (পাকিস্তান), দ্রাবিড় (ভারত), নাগা (নাগাল্যান্ড)।
- পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর একটি সার্বজনীন ধর্মীয় সামাজিক উৎসব হলো বৈসাবি। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমা ও রাখাইনদের সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিঝু-এই তিনটি উৎসবের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। চৈত্র মাসের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের প্রথম দিনকে ঘিরে এই উৎসব পালিত হয়।
- পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের চাষ করার বিশেষ পদ্ধতিকে জুম চাষ বলে। বাংলাদেশে সাধারণত পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় জুম চাষ হয়।
- বাংলাদেশে ৮টি উপজাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে। যথা:
- ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোণা। এটি বাংলাদেশের প্রথম উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি।
- ট্রাইবাল কালচারাল ইনস্টিটিউট (রাঙামাটি)।
- ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (বান্দরবন)।
- কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (কক্সবাজার)।
- ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (খাগড়াছড়ি)।
- রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি (রাজশাহী)।
- মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি (মৌলভীবাজার)।
- রাখাইন সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (রামু, কক্সবাজার)।
Reference: BCS CONCISE SERIES বাংলাদেশ বিষয়াবলী