ফৌজদারি কার্যবিধি (The Code of Criminal Procedure, 1898) একটি পদ্ধতিগত আইন। এই আইনে অপরাধীদের খুঁজে বের করা, তাদের আদালতে সোপর্দ করা এবং অপরাধ দমনের কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে। [রাবি (আইন বিভাগ)-'০৮-০৯]
ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য সরকার পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ করে থাকে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের দায়িত্ব আদালতের।
উল্লেখযোগ্য ধারা-
৬ (১) ধারা: ম্যাজিস্ট্রেট প্রধানত দুই ধরনের। যথা- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
৫৪ ধারা: পুলিশ আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের গ্রেফতারী পরোয়ানা আদেশ ব্যতীত ৯টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে।
৬১ ধারা: গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখা যাবে না।
১৪৪ ধারা: এটি মানুষের চলাচল, আচরণ এবং কর্মকাণ্ডের উপর বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ আরোপের ধারা।
১৫৪ ধারা: এজাহার (First Information Report-FIR) রেকর্ড করা হয়। FIR স্থানীয় থানায় দায়ের করা হয়।
১৬৪ ধারা: ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক স্বীকারোক্তি বা জবানবন্দী (Judicial Confession) রেকর্ড।
১৬৭ ধারা: পুলিশ রিমান্ড চাইতে পারে।
১৭৩ ধারা: পুলিশ অফিসারে রিপোর্ট (চার্জশিট/ফাইনাল রিপোর্ট)।
২০৪ ধারা: ওয়ারেন্ট প্রদান। বিচারক কর্তৃক কাউকে গ্রেপ্তার করার উদ্দেশ্যে পুলিশের প্রতি লিখিত আদেশনামাই হলো ওয়ারেন্ট।
৪২০ ধারা: দণ্ডবিধির একটি ধারা যেখানে প্রতারণার জন্য শান্তির বিধান রয়েছে।
৪৯৮ ধারা: আগাম জামিন বলতে বুঝায় গ্রেফতার পূর্ব জামিন।