(১) দিবারাত্রি সংঘটনঃ পর্যায়ক্রমে দিবারাত্রি সংঘটিত হওয়া আহ্নিক গতির একটি ফল । আহ্নিক গতি না থাকলে পৃথিবীর অর্ধাংশে চিরকাল দিন ও বিপরীত অর্ধাংশে চিরকাল রাত থাকত । কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর একদিকে রাত, অপরদিকে দিন হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর একদিকে আলোকিত থাকে অপরদিকে অন্ধকার থাকে । পৃথিবীর এই আলোকিত অংশ ও অন্ধকার অংশের সীমারেখাকে ছায়াবৃত্ত (The Shadow circle) বলে। আহ্নিক গতি বা আবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশ অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত পার হয়ে সবেমাত্র আলোকিত অংশে পৌঁছায় সে অংশে হয় প্রভাত (Morning)। আর যে অংশ আলোকিত অংশ থেকে ছায়াবৃত্ত অতিক্রম করে সবেমাত্র অন্ধকারে পৌঁছায় সে অংশে হয় সন্ধ্যা (Evening)। প্রভাতের কিছুক্ষণ পূর্বে যে ক্ষীণ আলো দেখতে পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ঊষা (Dawn)। আর সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পূর্বে যে সময় ক্ষীণ আলো থাকে সে সময়কে বলা হয় গোধূলি (Twilight)। গোধূলি ও রাতের মধ্যবর্তী সময়কে Dusk বলে।
(২) সমুদ্রস্রোত, জোয়ার-ভাটা ও বায়ুপ্রবাহঃ জোয়ার-ভাঁটার সৃষ্টি হয় পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে। আহ্নিক গতির সমুদ্রস্রোত ও বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়।