দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি থেকে অন্য কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তরের সাধারণ নিয়ম:
একটি দশমিক সংখ্যার দুটি অংশ থাকতে পারে। যথা: পূর্ণসংখ্যা ও ভগ্নাংশ। নিচে পূর্ণসংখ্যা এবং ভগ্নাংশ রূপান্তরের সাধারণ নিয়ম দেওয়া হলোঃ
✓ পূর্ণসংখ্যার ক্ষেত্রে
ধাপ-১: যে দশমিক পূর্ণ সংখ্যাকে পরিবর্তন করতে হবে তাকে কাঙ্খিত সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি (যেমন বাইনারি হলে ২, অক্টাল হলে ৮, হেক্সাডেসিমেল হলে ১৬) দ্বারা ভাগ করতে হবে এবং ভাগশেষটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।
ধাপ-২: উপরের ধাপে প্রাপ্ত ভাগফলকে আবার কাঙ্খিত সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি দ্বারা ভাগ করতে হবে এবং ভাগশেষটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাপ্ত ভাগফলকে বেজ দ্বারা ভাগ করার প্রক্রিয়া ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে যতক্ষণ না ভাগফল শূন্য হয়।
ধাপ-৩: প্রাপ্ত ভাগশেষগুলোকে (শেষে প্রাপ্ত ভাগশেষের দিক থেকে শুরুতে প্রাপ্ত ভাগশেষের দিকে) সাজিয়ে লিখলেই রূপান্তরিত সংখ্যার পূর্ণাংশ পাওয়া যাবে।
✓ ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে
ধাপ-১: যে দশমিক ভগ্নাংশকে পরিবর্তন করতে হবে তাকে কাঙ্খিত সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি (যেমন বাইনারি হলে ২, অক্টাল হলে ৮, হেক্সাডেসিমেল হলে ১৬) দ্বারা গুণ করতে হবে এবং পূর্ণ অংশটি সংরক্ষণ করতে হবে।
ধাপ-২: উপরের ধাপে প্রাপ্ত গুণফলের ভগ্নাংশকে (পূর্ণাংশটিকে নয়) আবার কাঙ্খিত সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি দ্বারা গুণ করতে হবে এবং প্রাপ্ত গুণফলের ভগ্নাংশটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাপ্ত ভগ্নাংশকে বেজ দ্বারা গুণ করার প্রক্রিয়া ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে যতক্ষণ না গুণফল শূন্য হয়।
ধাপ-৩: পূর্ণ অংশের মানগুলোকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সাজালেই কাঙ্খিত সংখ্যা পদ্ধতির সমকক্ষ পূর্ণ মান পাওয়া যায়।