যৌন প্রজনন

ফুল থেকে ফল এবং ফল থেকে বীজ হয়। বীজ থেকে নতুন গাছের জন্ম হয়। এভাবে একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ যৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। তাই ফুল উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনন অঙ্গ ।

ফুলঃ 

একটি সম্পূর্ণ ফুলের ৫টি অংশ থাকে। যথা- (১) পুষ্পাক্ষ (পুষ্পবৃন্ত + পুষ্প পত্রাধার), (২) বৃতি, (৩) দল, (৪) পুংস্তবক এবং (৫) স্ত্রীস্তবক। বৃতি, দল, পুং ও স্ত্রীস্তবকের সদস্যগুলোকে পুষ্পপত্র বলা হয় ।

স্ত্রীস্তবক এক বা একাধিক গর্ভপত্র বা গর্ভকেশর নিয়ে গঠিত। যেমন- জবা ফুলের স্ত্রীস্তবকে পাঁচটি গর্ভপত্র থাকে । 

প্রতিটি গর্ভপত্রের তিনটি অংশ থাকে যথা- ডিম্বাশয় (বা গর্ভাশয়), গর্ভদণ্ড এবং গর্ভমুণ্ড । গর্ভাশয়ের ভিতরে ডিম্বক থাকে আর ডিম্বকের ভিতরে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়। নিষেক বা গর্ভধান প্রক্রিয়ায় গর্ভাশয় রূপান্তরিত হয়ে ফলে পরিণত

হয়। পৃথিবীর বৃহত্তম ফুল হল র‍্যাফলেশিয়া ।

ফুলের শ্রেণিবিভাগঃ 

(ক) সম্পূর্ণ ও অসম্পূর্ণ ফুল : যে ফুলে বৃতি, দল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক এ চারটি স্তবকই থাকে, তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে । যেমন- ধুতুরা, জবা ইত্যাদি। যে ফুলে চার স্তবকের মধ্যে এক বা একাধিক স্তবক ফুলের অংশ

থাকে না, তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন- ধুতুরা, জবা, বকফুল, নয়নতারা, গোলাপ, সরিষা ইত্যাদি। যে সকল ফুলে পাঁচটি অংশ নেই, তাকে অসম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন- লাউ, কুমড়া, শসা, ঝিঙ্গা, লালপাতা ইত্যাদি।

(খ) একলিঙ্গ ও উভলিঙ্গ ফুল : যে ফুলে শুধুমাত্র পুংস্তবক বা স্ত্রীস্তবক আছে, তাকে একলিঙ্গ ফুল বলে । যেমন- লাউ, কুমড়া, ঝিঙ্গা ইত্যাদি। যে ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবক উভয়ই আছে তাকে উভলিঙ্গ ফুল

বলে। যেমন- ধুতুরা, জবা, সরিষা ইত্যাদি।

(গ) প্রতিসম এবং অপ্রতিসম ফুল : যে সকল ফুলকে তার কেন্দ্র দিয়ে খাড়াভাবে এক বা একাধিকবার সমান দুই অংশে ভাগ করা যায়, তাকে বলা হয় এক প্রতিসম ফুল। প্রতিসম ফুল আবার দুই প্রকার । যথা- এক প্রতিসম (যেমন- মটর, সরিষা, অপরাজিত ইত্যাদি) এবং বহুপ্রতিসম (যেমন- ধুতুরা, জবা, সরিষা ইত্যাদি)। যেসব ফুলকে কোনোভাবেই সমান দুইভাগে ভাগ করা যায় না, তা হলো অপ্রতিসম ফুল । যেমন- কলাবতী।

Reference: MP3 বিজ্ঞান