পরিবর্তিত কান্ড

প্রধানমূলের সাথে লাগান মাটির উপরের উদ্ভিদের অংশটি কাণ্ড । কাণ্ড পাতা, ফুল ও ফল ধারণ করে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে সাধার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য কাণ্ডের আকৃতিগত ও অবস্থানগত +পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের পরিবর্তনকে কাণ্ডের রূপান্তর বলে । অবস্থান অনুযায়ী এদের তিনভাগে ভাগ করা যায় । যথা-

১) ভূ-নিম্নস্থ পরিবর্তিত কাণ্ড : সাধারণত উদ্ভিদের কাণ্ড মাটির উপরে থাকে। কিন্তু যে সমস্ত কাণ্ড মাটির নিচে থাকে, এদের ভূ-নিম্নস্থ পরিবর্তিত কাণ্ড বলে। যেমন- আদা, হলুদ, সটি, গোলআলু, ওলকচু, পেয়াজ, রসুন, লিলি, টিউলিপ প্রভৃতি।

২) অর্ধ-বায়বীয় পরিবর্তিত কাণ্ড : কোনো কোনো কাণ্ডের কিছু অংশ মাটিতে এবং কিছু অংশ বায়ুতে থাকে। এদের অর্ধ-বায়বীয় পরিবর্তিত কাণ্ড বলে। যেমন- থানকুনি, দুর্বাঘাস, আমরুলী, কচু, কচুরিপানা, টোপাপানা, পুদিনা, চন্দ্রমল্লিকা, বাঁশ প্রভৃতি

৩) বায়বীয় পরিবর্তিত কাণ্ড : কতগুলো গাছের কাণ্ড বা কাণ্ডের অংশবিশেষ কোনো কাজ সম্পাদনের জন্য পরিবর্তিত হয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে এদের কাণ্ড বলে মনে হয় না। এদেরকে বায়বীয় পরিবর্তিত কাণ্ড বলে। যেমন- ফণিমনসা, শতমূলী, বেল, ময়না কাঁটা, মেহেদী, হাড়জোড়া, ঝুমকোলতা, বুলবিল প্রভৃতি । ফণিমনসার কাও পরিবর্তিত হয়ে পাতার মতো চ্যাপ্টা ও সবুজ হয়।

Reference: MP3 বিজ্ঞান