প্রজননতন্ত্র

প্রজননতন্ত্রের ক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে নানা উন্নতি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নিষেক, পুরুষ্যত্বহীনতা, টেস্টটিউব শিশু, হিমায়িত ভ্রুণ শিশু এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। নিষেক হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে পুরুষের শুক্রাণু ও মহিলার ডিম্বাণু একসাথে মিলিত হয়ে একটি ভ্রূণ তৈরি করে। যখন প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান ধারণ সম্ভব হয় না, তখন টেস্টটিউব শিশু পদ্ধতি (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা IVF) ব্যবহার করা হয়, যেখানে ল্যাবরেটরিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে ভ্রূণ তৈরি করা হয় এবং তা মহিলার গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। আরো উন্নত চিকিৎসায় হিমায়িত ভ্রুণ শিশু পদ্ধতি ব্যবহার হয়, যেখানে ভ্রূণকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হিমায়িত রেখে পরবর্তীতে গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়াও, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যেমন কনডম, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, যা অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ রোধ করতে সাহায্য করে। এসব আধুনিক প্রজনন প্রযুক্তি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দম্পতিদের সন্তান ধারণের সুযোগ এবং পরিবার পরিকল্পনার প্রক্রিয়া সহজতর করেছে।

Reference: