চৌম্বক পদার্থঃ
যেসব বস্তু চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত (বা বিকর্ষিত) হয় অর্থাৎ চুম্বক দ্বারা প্রভাবিত হয় তাদের কে চৌম্বক পদার্থ বলে । চৌম্বক পদার্থকে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ক) ফেরো-চৌম্বক বা অয়শ্চৌম্বক পদার্থঃ
লোহা, লোহার যৌগ, লোহার সংকর ধাতু (যেমন- ইস্পাত), নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে এদের মধ্যে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সৃষ্টি হয়।
খ) প্যারা-চৌম্বক বা পরাচৌম্বক পদার্থঃ
ম্যাঙ্গানিজ, প্লাটিনাম, অ্যালুমিনিয়াম, সোডিয়াম, বায়ু, অক্সিজেন, টিন প্রভৃতি পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে, এদের মধ্যে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয়। এর চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায় অর্থাৎ আবেষ্ট চুম্বকের অভিমুখ ও আবেশী চুম্বকের অভিমুখ এক দিকে হয়।
গ) ডায়া-চৌম্বক বা তিরচৌম্বক পদার্থঃ
পানি, অ্যান্টিমনি, বিসমাথ, পারদ, সোনা, রূপা, তামা, অ্যালকোহল, হাইড্রোজেন ইত্যাদি পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে, পদার্থের মধ্যে দুর্বল চুম্বকত্ব। চুম্বকত্বের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।