ফুটবল
ক) খেলার নিয়মাবলী
অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে ফুটবল খেলার প্রথম প্রচলন হয় চীনে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ফুটবল ইংল্যান্ডে প্রবেশ করার পর থেকে এর প্রচার, প্রসার ও জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ১৮৪৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রথম ফুটবলের জন্য আইন-কানুন প্রণয়ন করে। পরবর্তীকালে এর আরও পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন ঘটে এবং ফুটবলের জন্য একটি পরিপূর্ণ নীতিমালা তৈরি হয়। তাই ইংল্যান্ডকে আধুনিক ফুটবলের জনক বলা হয়।
ফুটবল...
পরিধি | ৬৮- ৭০ সে. মি. |
ওজন | ৪১০-৪৫০ গ্রাম (১৪-১৬ আউন্স) |
ফুটবল হলো ১১ জনের দু'টি দলের মধ্যে বায়ুপূর্ণ চামড়ার আদর্শ ফুটবল দ্বারা পা ও মাথার সাহায্যে পরস্পরের গোলসীমানার দিকে নিক্ষেপের খেলা। ৯০ মিনিটের খেলায় যে পক্ষ বেশি গোল পায় তাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলা চলাকালে প্রত্যেক দল সর্বোচ্চ ৩ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারে। অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলি খেলোয়াড় পরিবর্তনের বিধান সংযোজিত হয়েছে। খেলায় তিনভাবে ট্যাকলিং করা যেতে পারে। খেলা পরিচালনার জন্য একজন রেফারি (Referee) এবং তার সহায়তায় ম্যাচ অফিসিয়াল থাকেন। বর্তমানে VAR (Video Assistant Referee) প্রযুক্তি নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
Federation Internationale de Football Association (FIFA) আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে সদর দপ্তর অবস্থিত।
খ) আন্তর্জাতিক আসর
. ফিফা বিশ্বকাপ: ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল উরুগুয়েতে আয়োজন করা হয় এবং ৪ বছর অন্তর প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম বিশ্বকাপে মোট ১৩ দল অংশগ্রহণ করে এবং এই আসরে শিরোপা জয় করে উরুগুয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ এবং ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়নি। ফিফা বিশ্বকাপ আসরের সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল (Golden Ball) এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট (Golden Boot) পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৭০ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এল সালভেদর বনাম হন্ডুরাসের ম্যাচকে কেন্দ্র করে দু'টি দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১০০ ঘণ্টাব্যাপী (১৪ ১৮ জুলাই, ১৯৬৯) রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। সেই সংঘাতটি 'ফুটবল যুদ্ধ' হিসেবে স্মরণ করা হয়।
. ডুরান্ড কাপ (ভারত)
. মারদেকা ট্রফি (মালয়েশিয়া): এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট।
ফিফা বিশ্বকাপজয়ী দলগুলোর ক্রমিক অবস্থান
দল | শিরোপা জয়ের সময়কাল | মোট |
ব্রাজিল | ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২ | ৫ |
ইতালি | ১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬ | 8 |
জার্মানি | ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, ২০১৪ | 8 |
উরুগুয়ে | ১৯৩০, ১৯৫০ | ২ |
আর্জেন্টিনা | ১৯৭৮, ১৯৮৬ | ২ |
ফ্রান্স | ১৯৯৮, ২০১৮ | ২ |
ইংল্যান্ড | ১৯৬৬ | ১ |
স্পেন | ২০১০ | ১ |
গ) খ্যাতিমান ফুটবলার
জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স) ৩ বার (১৯৯৮, ২০০০, ২০০৩ খ্রি.) 'ওয়ার্ল্ড ফুটবলার অব দি ইয়ার' নির্বাচিত হন।
প্লাতিনি ফ্রান্সের ফুটবল তারকা।
ডিয়েগো ম্যারাডোনা (আর্জেন্টিনা) ২৫ নভেম্বর, ২০২০ মৃত্যুবরণ করেন।
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০০৯, ২০১০-১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালের ব্যালন ডি'আর পদক প্রাপ্ত জয়ী।
ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ডস) 'টোটাল ফুটবল' এর সফল বাস্তবায়ক।
পেলে (ব্রাজিল) 'কালো মানিক' নামে খ্যাত। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'My Life and the Beautiful Game'। তিনি ফুটবলে Joga Bonito (অর্থ Beautiful Game) শব্দটি জনপ্রিয় করেন।
নেইমার (ব্রাজিল) ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা।
মিয়া হ্যাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রমীলা স্ট্রাইকার।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো পর্তুগিজ ফুটবল তারকা।
দিদিয়ের দ্রগবা আইভরিকোস্টের ফুটবল তারকা।
জর্জ বেস্ট (উত্তর আয়ারল্যান্ড) ২০০৬ সালে জর্জ বেস্টের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর ছবি সম্বলিত ৫ পাউন্ডের স্মারক মুদ্রা ইস্যু করা হয়।
স্ট্যানলি ম্যাথুজ (ইংল্যান্ড) ভক্তরা 'উইজাড অব দ্য ড্রিবল' নামে ডাকতেন।
ফ্রেইঞ্জ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি) ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুশোভিত ফুটবলার।
মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি) বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (১৬টি) গোলদাতা