সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে। চলিত ভাষার আদর্শরূপ থেকে গৃহীত ভাষাকে বলা হয় প্রমিত ভাষা। চলিত ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রমিত উচ্চারণ। বিশ শতকের সূচনায় কলকাতার শিক্ষিত লোকের কথ্য ভাষাকে লেখ্য রীতির আদর্শ হিসেবে চালু করার চেষ্টা হয়। এটি তখন চলিত রীতি নামে পরিচিতি পায়। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চলিত রীতি সাধু রীতির জায়গা দখল করে। ক্রমে জীবনের সব ক্ষেত্রে সাধু রীতিকে সরিয়ে চলিত রীতি আদর্শ লেখ্য রীতিতে পরিণত হয়। একুশ শতকের সূচনাকালে এই চলিত রীতিরই নতুন নাম হয় 'প্রমিত • রীতি'। এটি 'মান রীতি' নামেও পরিচিত। চলিত ভাষা রীতির প্রবর্তনে প্রমথ চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য।