নাইট্রোজেন (N)
আকাশে বিদ্যুৎ ক্ষরণের ফলে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ তৈরি হয়, যা পানির সাথে মিশে নাইট্রিক এসিড উৎপন্ন করে। এ নাইট্রিক এসিড বৃষ্টির পানির সাথে মিশে মাটিতে পতিত হয় এবং জমির ক্ষারীয় উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রেট লবণ উৎপন্ন করে। উদ্ভিদ এ নাইট্রেট গ্রহণ করে তাকে প্রোটিনে রূপান্তরিত করে, যা প্রাণিসকল গ্রহণ করে । উদ্ভিদ ও প্রাণির জীবন অবসানের পর পচন ক্রিয়ায় প্রোটিনের কিছু অংশ নাইট্রোজেন গ্যাসে পরিণত হয়। এভাবে প্রকৃতিতে “নাইট্রোজেন চক্র” চলে।
নাইট্রোজেন অক্সাইডঃ নাইট্রাস অক্সাইড (NO) এর মৃদু মিষ্টি গন্ধ আছে। নিশ্বাসের সাথে এটি অল্প পরিমাণ গ্রহণ করলে হাসির উদ্রেক করে। এজন্য একে লাফিং গ্যাস বলে। মৃদু চেতনা নাশকরূপে N2O ব্যবহার করা হয়।
নাইট্রিক এসিড (HNO3) : একটি শক্তিশালী এসিড। স্বর্ণ হতে খাদ দূর করতে নাইট্রিক এসিড(৯৬-৯৮)% ঘনমাত্রার নাইট্রিক এসিডে অধিক নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) দ্রবীভূত থাকে। NO2 গ্যাস বের হয়ে বায়ুতে ধোয়া উৎপন্ন করে। তাই এই ঘনমাত্রার নাইট্রিক এসিডকে ধূমায়মান নাইট্রিক এসিড বলে।
রাজঅম্লঃ এক মোল গাঢ় নাইট্রিক এসিড (HNO3) এবং তিন মোল গাঢ় হাইডোক্লোরিক এসিডের (HCl) মিশ্রণকে অ্যাকোয়া রেজিয়া বা রাজ-অম্ল বলে । অভিজাত ধাতুসমূহ (যেমন- স্বর্ণ, প্লাটিনাম) যে কোনো গাঢ়তার হাইড্রোক্লোরিক এসিড বা নাইট্রিক এসিডে দ্রবীভূত হয় না, কিন্তু এরা অ্যাকোয়া রেজিয়া বা রাজ অম্লে দ্রবীভূত হয়।