প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট
উনবিংশ শতাব্দীতে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত থাকা জামান রাজ্যগুলো একত্রীকরণের প্রচেষ্টা শুরু হয়। জার্মান। জাতীয়তাবাদের বিকাশে দার্শনিক ফ্রেডরিক হেগেল ভূমিকা রাখেন। জার্মান রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ছিল প্রুশিয়া। প্রুশিয়া জার্মান ঐক্য আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখে। বিসমার্কের রক্ত ও লৌহ (Blood and Iron) নীতির দ্বারা জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। প্রুশিয়ার সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বিসমার্ক জার্মানির ঐক্য সাধন করেন। এর ফলশ্রুতিতে ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান সাম্রাজ্য গঠিত হয়। জার্মানির সরকার প্রধান চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত (Chancellor) বলে। চ্যান্সেলর প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য পদ। বিসমার্ক আধুনিক ইউরোপীয় কল্যাণ রাষ্ট্রের ভিত্তি রচনা করেন। সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তিনি অবসরভাতা (pensions), স্বাস্থ্য বীমা চালু করেন। জটিল কূটনৈতিক বিসমার্কের সাথে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে জার্মানির সম্রাট (কাইজার) দ্বিতীয় উইলিয়ামের সঙ্গে তীব্র মতভেদ হওয়ায় ১৮৯০ সালে বিসমার্ক পদত্যাগ করেন। বিসমার্কের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইলিয়াম সামুদ্রিক প্রাধান্য অর্জন করে সাম্রাজ্য বিস্তারের মনোনিবেশ করেন। এতে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে ।