বাংলাদেশের নদ-নদী
বাংলাদেশের নদ-নদী
- নদ ও নদীর পার্থক্য ব্যাকরণগত। সাধারণত যেসব নদীবাচক বিশেষ্যের শেষে মুক্তাক্ষর থাকে তাদেরকে নদী বলা হয় এবং বন্ধাক্ষর থাকলে নদ বলা হয়। যেমন- পদ্মা, মেঘনা (মুক্তাক্ষর) নদী; কপতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নীল (বদ্ধাক্ষর) = নদ।
- গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (Ganges Delta) বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ।
- গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের সম্মিলিত স্রোতোধারা মেঘনার সহযোগে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই ব-দ্বীপ সৃষ্টি করেছে। ব-দ্বীপটি পশ্চিমে হুগলী নদী হতে পূর্বে মেঘনা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।
- গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার সম্মিলিত নদী অববাহিকার ৩৩ শতাংশ বাংলাদেশে অবস্থিত।
- ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের সীমানা থেকে ১৬.৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত।
- বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ৫৮টি।
- ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন নদী ৫৪টি। (সূত্র- যৌথ নদী কমিশন)
- মিয়ানমার হতে ৩টি নদী বাংলাদেশের প্রবেশ করেছে।
- গঙ্গানদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ নেপালে জলাধার নির্মাণের প্রস্তাব করেছে।
- বাংলাদেশের হালদা নদী মৎস্য প্রজননের জন্য বিখ্যাত।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী কর্ণফুলি।
- হালদা ও সাঙ্গু নদী বাংলাদেশের সীমানায় উৎপত্তি ও সমপ্তি হয়েছে।
- সুন্দরবনে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা নির্ধারণকারী নদী হাড়িয়াভাঙ্গা।
- ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।
- বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত ফরিদপুরে।
- ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন (JRC) গঠিত হয়।
- WAPDA'র পূর্ণরূপ হলো Water and Power Developement Authority.
- জি-কে প্রজেক্ট (G-K Project) বা গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্প বাংলাদেশের প্রথম সেচ প্রকল্প।
Reference: BCS CONCISE SERIES বাংলাদেশ বিষয়াবলী