মহাকাব্য

মহাকাব্য

সাধারণত বীর রসাত্মক আখ্যানকাব্যকে মহাকাব্য বলে। স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল পরিব্যাপ্ত লৌকিক-অলৌকিক-পৌরাণিক বিশালাকায়তন আখ্যানকে মহাকাব্য বলে। মহাকাব্যের প্রধান পাত্র-পাত্রী সর্বদা দেবতা নতুবা উচ্চ বর্ণের অভিজাত ক্ষমতাবান মানুষেরা হয়ে থাকেন। মহাকাব্যের ভাষা সর্বদা ধ্রুপদী, গুরুগম্ভীর এবং রসগুরু রুচিসম্পন্ন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মহাকাব্যেই অলৌকিকতার প্রাধান্য লক্ষ করা যায়।

প্র. মহাকাব্য কী?

উ. পাশ্চাত্য আদর্শানুসারে মহাকাব্য হচ্ছে বীরত্বব্যঞ্জক কাহিনী।

প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য কোনটি?

উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্য' (১৮৬১)। এটি রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বীর রসের অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভাবের সংমিশ্রণে রচিত সর্বপ্রথম, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সার্থক মহাকাব্য। চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা।  

প্র. পাশ্চাত্য মহাকাব্য কয়ভাবে বিভক্ত?

উ. দুই ভাগে। যথা:

  • জাত মহাকাব্য: এ মহাকাব্য কোন বিশেষ কবির রচনা নয়, এতে থাকে বহু অজানা কবির অসংখ্য রচনা যা পরবর্তীতে কেউ একত্রিত করে অখণ্ড রূপ দেন। জাত মহাকাব্য চারটি। যথা: ক. মহাভারত, খ. রামায়ণ, গ. ইলিয়াড, ঘ. ওডিসি।
  • সাহিত্যিক বা অনুকৃত মহাকাব্য: পুরান ইতিহাস থেকে কাহিনী নিয়ে একজন কবি তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভার গুণে নতুন রূপ দেয়াকে সাহিত্যিক বা অনুকৃত মহাকাব্য বলে। যেমন: মিল্টনের 'প্যারাডাইস লস্ট'।
Reference: অগ্রদূত বাংলা