লোকসাহিত্য

লোকসাহিত্য

সংস্কৃতির যে সকল সাহিত্য গুণসম্পন্ন সৃষ্টি প্রধানত মৌখিক ধারায় সাধারণত কোনো সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর অলিখিত অনুসরণ করে অগ্রসর হয় তাকে লোকসাহিত্য হিসেবে চিহ্নিত সাহিত্যই লোকসাহিত্য। বাংলার অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী করা হয়। ডাক ও খনার বচনকে লোকসাহিত্যের আদি নিদর্শন লোকসাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এদের একটি বড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবহমান কাল হতে লোকের মুখে অংশ লোক-কবি, যাদের সাধারণত 'বয়াতি' বলা হয়। এ মুখে প্রচলিত কাহিনী, ছড়া, গান, কথা, গীতিকা, ধাঁধাঁ, গাঁথা সাহিত্যে ভালবাসা, আবেগ, অনুভূতি ও চিন্তা-চেতনার প্রভৃতি লোকসাহিত্যের উপাদান ও নিদর্শন। লোকসাহিত্যকে প্রকাশ ঘটেছে। বাংলা সাহিত্যের শিকড়সন্ধানী সাহিত্য বলা হয়।

 

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর

প্র. লোকসাহিত্যের আদিরূপ কী কী?

উ. ছড়া, প্রবাদ/প্রবচন ও ধাঁধা।

প্র. লোকসাহিত্য কী? (৩২তম বিসিএস লিখিত।

উ. সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত কিন্তু অলিখিত সাহিত্য যা গাথাঁকাহিনী, গান, ছড়া, প্রবাদ ইত্যাদির সামষ্টিক রূপ।

প্র. লোকসাহিত্য সংগ্রহে কে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন?

উ. ড. দীনেশচন্দ্র সেন। তিনি পল্লী অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে প্রাচীন বাংলার পুঁথি ও লোককথা সংগ্রহ করেন এবং তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় 'মৈমনসিংহ গীতিকা' (১৯২৩) ও 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা (১৯২৬)। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ 'বঙ্গভাষা ও সাহিত্য (১৮৯৬)।

  • রেভারেন্ড লাল বিহারী 'Folk Tales of Bengal (১৮৮৩) বইটি রচনা করে লোকসাহিত্যের ইতিহাসে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব।
  • ড. সুনীল কুমার দে 'প্রবাদ সংগ্রহ' ও ড. মযহারুল ইসলাম 'কবি পাগলা কানাই' নামে গ্রন্থ রচনা করে লোকসাহিত্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখেন।
  • লোকসাহিত্যের উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন, ড. আশরাফ সিদ্দিকী।

প্র. বিখ্যাত লোকগীতি 'হারামনি'র সম্পাদক কে?

উ. মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন। এটি ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত।

প্র. গীতিকা কী?

উ. ইংরেজিতে একে Ballad বলে, যার অর্থ গীতিকা। এগুলো এক ধরনের আখ্যানমূলক লোকগীতি। প্রাচীনকালে ইউরোপে নাচের সাথে যে কবিতা গীত হতো, তাকেই গীতিকা বলা হতো। এ সাহিত্যে সাধারণত কোন দৈব দুর্ঘটনা বা কোন বিয়োগান্ত প্রেমকাহিনীর বর্ণনা থাকে।

প্র. বাংলাদেশে কত ধরনের গীতিকা সাহিত্য প্রচলিত ও কী কী?

উ. তিন ধরনের। যথা:

  • নাথ গীতিকা  
  • মৈমনসিংহ গীতিকা
  • পূর্ববঙ্গ গীতিকা।

প্র. গীতিকাগুলো কে সংগ্রহ করেন?

উ. ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অগ্রহে, স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চন্দ্রকুমার দে গীতিকাগুলো সংগ্রহ করেন।  

প্র. নাথ গীতিকা কী?

উ. একটিমাত্র ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু অবলম্বনে রচিত হয় নাথ গীতিকা। রাজা গোপীচাঁদ বা গোবিন্দচন্দ্র মায়ের নির্দেশে যৌবনে দুই নব পরিণীতা বধূকে রেখে সন্ন্যাস অবলম্বন করেন। যার কাহিনীকে ঘিরেই রচিত 'নাথ গীতিকা'।

 প্র. 'মানিকচন্দ্র রাজার গান' কে প্রকাশ করেন?  

উ. ১৮৭৮ সালে ভাষাবিজ্ঞানী জর্জ গ্রিয়ারসন রংপুরের কৃষকদের কাছ থেকে 'ময়নামতি গোপীচন্দ্রের পুঁথি' সংগ্রহ করে'মানিকচন্দ্র রাজার গান' নামে প্রকাশ করেন যা পরবর্তীতে ১৯২২ সালে 'কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়' থেকে 'গোপীচন্দ্রের গান' নামে প্রকাশিত হয়।

প্র. নাথ গীতিকাগুলো কী কী? (৩২তম বিসিএস লিখিত) 

নাথ গীতিকার নাম রচয়িতা 
ময়নামতির গান  ভবানীদাস 
গোপীচাঁদের সন্ন্যাসশুকুর মহম্মদ 

প্র. 'মৈমনসিংহ গীতিকা' কী? (২০তম বিসিএস লিখিত) 

উ. বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে যে কবিতা বা গীত বা পালাগান প্রচলিত ছিল বা প্রচারিত হতো, সেগুলোকে 'মৈমনসিংহ গীতিকা' বলে। এ গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত পালাসমূহে কথিত শিক্ষিত সমাজের বাইরে সাধারণ মানুষের জীবনকাহিনী উপস্থাপিত হয়েছে। এতে সামসময়িক কালের হিন্দুদের কুপ্রথা ও মুসলমানদের ফতোয়াবাজি থেকে মুক্ত সমাজব্যবস্থার চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। ফলে পালাগুলোর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত পরিলক্ষিত হয়নি এবং প্রাচীন হিন্দু ও মুসলিম সংস্কৃতির চরম মিথস্ক্রিয়া লক্ষ করা যায়।

প্র. 'মৈমনসিংহ গীতিকা' কে সম্পাদনা করেন?

উ. বর্তমান নেত্রকোনা জেলার আইঘর/রাঘবপুর গ্রামের অধিবাসী চন্দ্রকুমার দে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভাটি অঞ্চল থেকে গীতিকা সংগ্রহ করেন, যা দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় ১৯২৩ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সাহায্যে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে এটি চারখণ্ডে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। এ চারখণ্ডের প্রথম খণ্ড 'মৈমনসিংহ গীতিকা' নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত হয়।

প্র. 'ঠাকুরমার ঝুলি', 'ঠাকুরদাদার ঝুলি' কে সম্পাদনা করেন?

উ. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।

প্র. 'মৈমনসিংহ গীতিকাগুলো কী কী? (৩২/২০তম বিসিএস লিখিত)

উ. 'মৈমনসিংহ গীতিকা' মোট ১০টি।

গানের নাম (চরিত্র)রচয়িতা
মহুয়া (নদের চাঁদ, মহুয়া)দ্বিজ কানাই
মলুয়াচন্দ্রাবতী
কমলাদ্বিজ ঈশান
দস্যু কেনারামের পালাচন্দ্রাবতী
দেওয়ানা মদিনা (আলাল, দুলাল, মদিনা)মনসুর বয়াতি
দেওয়ান ভাবনাচন্দ্রাবতী
কাজলরেখাঅজ্ঞাত
চন্দ্রাবতীনয়ানচাঁদ ঘোষ
কঙ্ক ও লীলাদমোদর, রঘুসুত, নয়চাঁদ ঘোষ
রূপবতীঅজ্ঞাত

প্র: পূর্ববঙ্গ গীতিকা কে সম্পাদনা করেন?

উ: ড. দীনেশচন্দ্র সেন নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে এগুলো সংগ্রহ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানুকূল্যে ১৯২৬ সালে 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা' নামে তিন খণ্ডে প্রকাশ করেন। এতে পালাগানের সংখ্যা ৫০ এর অধিক।

প্র: পূর্ববঙ্গ গীতিকাগুলো কী কী?

উ: নিজাম ডাকাতের পালা, কাফন চোরা, কমল সওদাগর, চৌধুরীর লড়াই, কাঞ্চন মালা, আয়না বিবি, ভেলুয়া, কমলা রাণীর গান ইত্যাদি।

প্র: ডাক ও খনার বচন কোন যুগের সৃষ্টি?

উ: ডাক ও খনার বচন প্রাচীন যুগের সৃষ্টি হলেও মধ্যযুগের শুরুতে এগুলো সমৃদ্ধি লাভ করে। একসময়ে বাংলাদেশে ডাক ও খনার বচন ব্যাপক প্রচলিত ছিল।

ডাক: বৌদ্ধদের জ্ঞানপুরুষ ডাক। এ বৌদ্ধ সমাজেই ডাকের বচনের উৎপত্তি হয়েছিল। কৃষক ও কৃষাণীরা এগুলো মুখস্থ রাখতেন। ডাক কোন একক ব্যক্তি বিশেষের নাম নাও হতে পারে। হয়ত একাধিক ব্যক্তি কালক্রমে বিশেষ জ্ঞানের যে পদগুলো রচনা করেছেন তাকেই ডাকের বচন বলা হয়। ডাকের বচন 'ডাকের কথা' বা 'ডাক পুরুষের কথা' নামেও পরিচিত। এতে জ্যোতিষ, ক্ষেত্রতত্ত্ব ও মানব চরিত্রের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যেমন:

  • ঘরে আখা বাইরে রাঁধে, অল্প কেশ ফুলাইয়া বাঁধে।

খনা: খনার বচন প্রধানত কৃষিভিত্তিক। খনার বচন ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। বৌদ্ধ সমাজে যেমন ডাকের বচনের উৎপত্তি হয়েছিল, তেমনি হিন্দু সমাজে খনার বচনের সৃষ্টি হয়েছিল। এ বচনগুলি জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী বাঙালি নারীর রচিত বলে ধরে নেয়া হয়। খনার বচনগুলির মাধ্যমে প্রধানত কৃষি, আবহাওয়া, সমাজের পরিচয় সম্পর্কে বহুবিধ ধারণা পাওয়া যায়। যেমন:

  • কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস। 
  • একে তো নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি। 
  • কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত। 
  • আলো হাওয়া বেধ না, রোগ ভোগে মরো না। 
  • উনা ভাতে দুনা বল, অতি ভাতে রসাতল। 
  • আউশ ধানে চাষ লাগে তিন মাস। 
  • আগে খাবে মায়ে, তবে পাবে পোয়ে। 
  • গাছে গাছে আগুন জ্বলে, বৃষ্টি হবে খনায় বলে। 
  • তেলা মাথায় ঢালো তেল, শুকনো মাথায় ভাঙ্গ বেল। 
  • দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। 
  • ভাত দেবার মুরোদ নাই, কিল দেবার গোঁসাই।

প্র. লোককথা বা লোককাহিনী কাকে বলে?

উ. গদ্যের মাধ্যমে কাহিনী বর্ণিত হলে তাকে লোককথা বা লোককাহিনী বলে। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Folklore. কাহিনীগুলো কাব্যে রূপায়িত হলে 'গীতিকা' এবং গদ্যে বর্ণিত হলে তা 'কথা' নামে পরিচয় লাভ করে। ড. আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মতে, লোককথা ৩ প্রকার। যথা:  

  • রূপকথা 
  • উপকথা 
  • ব্রতকথা।

প্র. রূপকথা কী?

উ. নানা অবাস্তব ও অবিশ্বাস্য কাহিনী নিয়ে রচিত সাহিত্যই রূপকথা। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Fairy Tales. বাস্তব রাজ্যের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো অপুত্রক রাজার দৈব বলে পুত্রলাভ, ভাগ্যান্বেষণে রাজপুত্রের দেশান্তরে গমন এবং বহু বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে সাফল্য  অর্জুন, পরিণামে রাজকন্যা ও অর্ধেক রাজ্য লাভ করে সুখে কালযাপন- এ ধরণের কাহিনী কাঠামোর উপর রূপকথার ভিত্তি ও প্রকাশ। দক্ষিণারঞ্জন মিত্রের সংগৃহীত রূপকথার নাম 'ঠাকুরমার ঝুলি' (১৯০৭), 'ঠাকুরদাদার ঝুলি' (১৯০৯), 'ঠানদিদির থলে' (১৯০৯), 'দাদামশায়ের থলে' (১৯১৩), 'কিশোরদের মন' (১৯৩৩)। উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর রূপকথা সংগ্রহের নাম 'টুনটুনির বই' (১৯৬৪)।  

প্র. উপকথা কী?

উ. পশু-পাখির কাহিনী অবলম্বনে রচিত সাহিত্যই উপকথা। কৌতুক সৃষ্টি এবং নীতি প্রচারের জন্য এগুলোর সৃষ্টি। এতে মানব চরিত্রের মতই পশুপাখির বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে বক্তব্য পরিবেশিত হয়েছে। ইংরেজির ঈশপের গল্প, সংস্কৃতে পঞ্চতন্ত্র ও হিতোপদেশ এরূপ নীতিকথার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।  

প্র. ব্রতকথা কী?

উ. বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেয়েলি ব্রতের সাথে সম্পর্কিত কাহিনী অবলম্বনে ব্রতকথা নামে এক ধরনের লোককথার বিকাশ ঘটেছে। এসব কাহিনীতে যে ধর্মবোধের কথা বলা হয়েছে তাতে মেয়েদের জাগতিক কল্যাণ নিহিত।

প্র. চন্দ্রকুমার দে এবং দীনেশচন্দ্র সেনের নাম কেন লোকসাহিত্য প্রেমীদের হৃদয়ে চিরদিন জেগে থাকবে?(৩৮তম বিসিএস লিখিত]

উ. চন্দ্রকুমার দে লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও লেখক। অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে বেশিদুর পড়ালেখা করতে পারেননি। ফলে নামমাত্র বেতনে চাকরি করেছেন বিভিন্ন জায়গায়। অবশেষে কেদারনাথের মাধ্যমে চন্দ্রকুমার দে দীনেশচন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করেন এবং মাসিক সত্তর টাকা বেতনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসাহিত্য সংগ্রাহক পদে নিযুক্ত হন। চন্দ্রকুমার দে সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে লোকসাহিত্য ও লোকসংগীত সংগ্রহ শুরু করেন। পরবর্তীতে এসকল সংগৃহীত সাহিত্য দীনেশচন্দ্রের সম্পাদনায় 'মৈমনসিংহ গীতিকা' ও 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা' নামে প্রকাশিত হয়। ফলে চন্দ্রকুমার দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন এবং লোকসাহিত্য প্রেমীর হৃদয়ে জায়গা করে নেন।  

রায়বাহাদুর দীনেশচন্দ্র সেন একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোকসাহিত্য বিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার। দেশের সংস্কৃতির প্রতি গভীর মমতা থাকার কারণে তিনি দেশের অতীতের সাহিত্যকে জনসমক্ষে আনতে ব্যাপক প্রয়াস চালান। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ লোকসাহিত্য বিলুপ্তি থেকে উদ্ধার এবং এ সাহিত্য বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে গ্রন্থ প্রণয়নে তিনি অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সম্পাদনায় সংগৃহীত এ লোকসাহিত্য 'মৈমনসিংহ গীতিকা' ও 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা' নামে প্রকাশিত হয়। ফলে তিনি সর্বত্র প্রভূত প্রশংসা অর্জন করেন এবং লোকসাহিত্যপ্রেমীর হৃদয়ে জায়গা করে নেন।  

Reference: অগ্রদূত বাংলা